
প্রকল্পের সারসংক্ষেপ
GenZ Agro-এর ছাগল পালন প্রজেক্ট শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হালাল ও স্বচ্ছ বিনিয়োগের সুযোগ, যা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পশুপালন খাতকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে। ছাগল পালন খাত বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং স্বল্প সময়ে তুলনামূলকভাবে দ্রুত রিটার্ন প্রদান করতে সক্ষম। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে শিক্ষার্থীরা কেবল আর্থিকভাবে লাভবানই হবে না, বরং স্থানীয় খামারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সহায়তা করবে।
অংশগ্রহণকারী খামারী
৫ জন অভিজ্ঞ খামারী সরাসরি এই প্রকল্প পরিচালনা করছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ছাগল পালনে দক্ষতা অর্জন করেছেন এবং আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে উচ্চমানের উৎপাদন নিশ্চিত করেন।
সময়কাল
বিনিয়োগকারীরা ৩, ৬, ৯ মাস অথবা সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য এই প্রজেক্টে অংশ নিতে পারবেন। সময়কাল অনুযায়ী রিটার্ন ভিন্ন হতে পারে।
কাজের ধাপসমূহ
ছাগল সংগ্রহ: স্থানীয় বাজার থেকে সুস্থ ও উপযুক্ত জাত নির্বাচন।
খাদ্য ও পরিচর্যা: বৈজ্ঞানিক খাদ্য পরিকল্পনা ও দৈনিক তত্ত্বাবধান।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা: ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন।
বৃদ্ধি ও পালনের সময়কাল: নির্ধারিত সময়ে ছাগল মোটাতাজাকরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি।
বাজারজাতকরণ: ঈদ-উল-আযহা, উৎসবকালীন বা নির্ধারিত মৌসুমে বিক্রির মাধ্যমে সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত।
লাভের অংশীদারিত্ব
প্রকল্প শেষে বিনিয়োগকারীরা গড়ে ১৮%–২৫% (এক্সপেক্টেড) ব্যাংকপ্রফিট লাভ পাবেন। এটি বাজার পরিস্থিতি, খাদ্য খরচ ও বিক্রয় মূল্যের উপর নির্ভরশীল।
বিশেষ সুবিধা
ভেরিফাইড পেমেন্ট ও সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়া।
বছরে দুইবার বিনিয়োগকারীদের জন্য খামার ভিজিটের সুযোগ।
অভিজ্ঞ খামারী ও অ্যানালিস্ট দ্বারা প্রকল্প পরিচালনা।
হালাল ও শরিয়াহসম্মত বিনিয়োগ ব্যবস্থা।
প্রকল্পের লক্ষ্য ও প্রভাব
ছাগল পালন প্রজেক্ট শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী হালাল ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ তৈরি করছে। পাশাপাশি এটি গ্রামীণ খামারীদের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের পশুপালন খাতকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখছে।
লস রিস্ক, ঝুঁকি ও প্রতিকার
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য শক্তিশালি কাঠামো রয়েছে।
- বাজারে দামের ওঠানামা: অভিজ্ঞতা সম্পন্ন টিম রয়েছে।
- রোগবালাই: নিজস্ব দোকান রয়েছে মেডিসিনের যেখান থেকে ভ্যাক্সিন সহজেই পাওয়া যাবে।




